বিশ্বে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সনদ ও নীতিমালা রয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে নারীর অধিকারকে মানবাধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া। কিন্তু প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতিত হয়। ফলে নারীর মানবাধিকার খর্ব হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের নারী নির্যাতন সম্পর্কে জানা যায় । যেমন : নারীদের এসিড ছুঁড়ে মারা, যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন ও হত্যা, ধর্মীয় অপরাধের কথা বলে অবৈধভাবে শান্তি দেওয়া।
যৌতুকের জন্য নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে। এই কারণে সমাজে অনেকে নারীকে বোঝা হিসেবে পণ্য করে । অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের বিনা অনুমতিতে মেয়েরা বাড়ির বাইরে যেতে বা কারও সাথে মিশতে পারে না। এতে পরিবারের সুনাম নষ্ট হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। নারী নির্যাতনের কারণে মেয়েদের শিক্ষা, বাইরে কাজের দক্ষতা বা সুযোগ ক্ষতি হয়।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের সরকার কী করছে?
সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে। নিপীড়নের শিকার নারী ও শিশুদের চিকিৎসাসেবা, আইনি সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শসেবা প্রদান করছে। এছাড়াও নির্যাতন দমনের জন্য ২০১১ সালে জাতীর নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে। তবে এই ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন প্রতিরোধে সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়ন জরুরি।
পাশের পৃষ্ঠার পোস্টারটি দেখে আলোচনা কর ছবির মানুষগুলো কী অর্জন করতে চায় ।
নারী নির্যাতন মানুষ ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর। এই ভয়াবহ বিষয় সম্পর্কে পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানীয় পত্রিকার একটি চিঠি লেখ।
বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করে। এ মন্ত্রণায়ের অধীনে নিচের দুটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু তথ্য সংগ্রহ কর :
• বাংলাদেশ শিশু একাডেমি
• মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর
উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর :
নারী নির্যাতন সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আমরা--------------মাধ্যমে পরিবর্তন করতে পারি ।
Read more